৯ অক্টোবর ২০২২ইং আজকের মেঘনা ডটকম,
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আজ (রোববার) নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হয়েছে।
দিনটি উপলক্ষে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, জিকির-আজকার, মোনাজাত, মিছিল, শোভাযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আনজুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভান্ডারিয়ার উদ্যোগে এক বিশাল শান্তি সমাবেশ ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
মাইজভান্ডারিয়ার নেতা আল্লামা শাহ সুফি সৈয়দ মঈনুদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।
শাহ সুফি সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও নুরুল আমিন রুহুল।
এ ছাড়াও রাজধানীর মিরপুর এলাকায় ‘ঢাকা মিরপুর এলাকাবাসী’র ব্যানারে বিশাল এক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ‘ইসলামে সাম্য ও সম্প্রীতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য আইয়ূব ভূঁইয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান। এ ছাড়াও সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সিনিয়র সদস্য সৈয়দ আখতার ইউসুফ।
রাজধানীর গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশির উদ্দিন মিলনায়তনে আশেকানে রহমানিয়া মইনিয়া শহীদিয়া মাইজভান্ডারিয়ার উদ্যোগে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহ সুফি মাওলানা সৈয়দ শহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
সেমিনার শেষে মহানগর নাট্যমঞ্চ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয় এবং শোভাযাত্রাটি গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট ঘুরে মহানগর নাট্যমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন করতে দেশের বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলসহ ১৫ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দিবস পালনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে এবং টেলিভিশনে অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচারিত হচ্ছে।
হিজরি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সারাবিশ্বের রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তার ওফাত বার্ষিকীও একই দিনে। হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এ দিনটিকেই ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে থাকেন বাংলাদেশের মানুষ। সরকারি ছুটিও থাকে এদিন।
শনিবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ১৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে মাসব্যাপী ইসলামি বইমেলারও উদ্বোধন করেন তিনি।
এদিন এশার নামাজের পর রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ওয়াজ মাহফিল, দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সারাদেশে ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিনটি উদযাপিত হয়েছে।
দিনটিতে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে আরবের মক্কা নগরীর কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.)। ৬৩ বছর বয়সে তিনি আরবের মদিনায় ওফাত গ্রহণ করেন।