বিপ্লব সিকদার।।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চলমান অভিযানে ইউনাইটেড, জেএসসহ ১৮টি হাসপাতাল এবং ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছে। সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে আরও তিনটি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান। এই সময়ে ঢাকা, টাঙ্গাইল ও নরসিংদীর ৩৮টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা আজ বুধবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র : আজকের পত্রিকা
অধিদপ্তরের অভিযানে বন্ধ করা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, সাভারের আদনান হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও রহমান স্পেশালাইজড হাসপাতাল। মালিবাগের জেএস ডায়াগনস্টিক এন্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টার, সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কালশীর এএইচএস ডায়ালাইসিস অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, এশিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শেরেবাংলা নগরের ঢাকা হেলথ কেয়ার, কেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা ট্রমা সেন্টার ও স্পেশালাইজড হাসপাতাল, টিজি হাসপাতাল, রেডিয়াম ব্লাড ব্যাংক, ইসিবি চত্বরের রাজধানী ব্লাড ব্যাংক, হেলথ পয়েন্ট, আল হাকিমী চক্ষু হাসপাতাল; উত্তরার হাই কেয়ার নিউরো কার্ডিয়াক সেন্টার।
রংপুরের মেট্রো হাসপাতাল, সালমা ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেন্টার ও মেডিকেয়ার ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোম।
বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের প্রবেশপথে নিবন্ধন না টানানো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ ও লেবার রুম প্রটোকল বাধ্যবাধকতাসহ ১০ দফা নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না করায়, নিবন্ধন না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট রাখা ইত্যাদি কারণে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার কর্মকর্তারা জানান, নির্দেশনা না মানায় মঙ্গলবার রাজধানীতে ৬টি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে দুটি টিম রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল হোসেন গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে অভিযান পরিচালনায় ৬টি উচ্চ পর্যায়ের টিম গঠন করে আদেশ জারি করেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুটি ও আজ বুধবার চারটি টিম অভিযান শুরু করে। এই ছয়টি টিমের দায়িত্ব থাকবেন ছয়জন পরিচালক।