ডেস্ক রিপোর্ট।।
অতিমাত্রায় কীটনাশক (বালাইনাশক) ব্যবহারের কারণে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। তাই কীটনাশকমুক্ত ফসল উৎপাদনে কৃষক পর্যায়ে জৈব বালাইনাশকের ব্যবহার বাড়াতে হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) মিলনায়তনে কীটতত্ত্ব নিয়ে গবেষণার ৫০ বছর শীর্ষক সম্মেলনে আলোচকেরা এসব কথা বলেন। সম্মেলন আয়োজন করে বাংলাদেশ কীটতত্ত্ব সমিতি।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কীটতত্ত্ব সমিতির সাবেক সভাপতি ড. সৈয়দ নুরুল আলম। তিনি বলেন, ‘কীটনাশক কীট ব্যবস্থাপনার অন্যতম সমাধান নয়। অতিমাত্রায় বালাইনাশক ব্যবহারের কারণে পোকামাকড়গুলো সহনশীল ক্ষমতা গড়ে তোলে। এতে বালাইনাশকের কার্যকারিতা আগের মতো থাকে না। ফলে আমরা এখন জৈব কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি।’
সৈয়দ নুরুল আলম বলেন, ‘অতিমাত্রাই বালাইনাশক ব্যবহারের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। আমরা খাচ্ছি বালাইনাশকের অবশিষ্ট অংশ। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগ ব্যাধি বাড়ছে।’
সে জন্য জৈব বালাইনাশক ব্যবস্থাপনাকে জোরদার করতে হবে। শুধু অনুমোদন দিলেই হবে না। এটাকে সহজলভ্য করতে হবে। কৃষক পর্যায়ে জনপ্রিয় করার আহ্বান জানান তিনি।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কীটতত্ত্ব সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার। অতিথি ছিলেন বিএআরসি নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবা জাহান।