ভারতে বাংলাদেশের সদ্য সাবেক হাইকমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী আর নেই।
আজ সোমবার সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএইচএম) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিচালক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ। তিনি জানান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী দূরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছিলেন।
সাবেক এই পররাষ্ট্র সচিবকে ২০১৪ সালে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ভারতে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করে সম্প্রতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ঢাকায় ফেরেন।
পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে ২০০১ সালের ১১ মার্চ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। ১৯৯৯ সালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা-ইউনেসকোর স্বীকৃতি আদায়ের প্রক্রিয়ায় তিনি ফ্রান্সে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ১৯৬৮ সালে সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস এক্সামিনেশনের মাধ্যমে তৎকালীন পাকিস্তানের ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের ৪ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত অবস্থায় তিনি পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। এরপর তিনি ওয়াশিংটনে স্বাধীন বাংলাদেশের দূতাবাস প্রতিষ্ঠা করেন।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী পেশাদার কূটনীতিক হিসেবে ভুটান, ইরান ও ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি ওয়াশিংটন, ওয়ারশ, নয়াদিল্লি ও জেদ্দায় বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
শিক্ষাগত জীবনে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণীবিদ্যায় এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক।
তিনি দৈনিক কালের কণ্ঠে নিয়মিত কলাম লিখতেন।