৩০ ডিসেম্বর ২০১৯,আজকের মেঘনা ডটকম, আ: হক :
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের অগ্রণী ভূমিকা ছিল। গণমাধ্যমে প্রচারের ফলে সারা বিশ্ব ১৯৭১ সালে গণহত্যা ও বাঙালি জাতির উপর নির্মম নির্যাতনের বিষয়ে অবগত হয়। বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন সরকারের প্রতি বিশ্ব জনমত গড়ে উঠে। বর্তমান উন্নয়ন অগ্রগতিতেও গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের ইতিবাচক সাংবাদিকতা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ¯œাতক হওয়া উচিত। তিনি সাংবাদিকদের আরো অধিক লেখা-পড়া করার আহ্বান জানান।
রুর্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ)’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস ২০১৯ উপলক্ষে ৩০ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকার তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির গর্বের ও অহংকারের বিষয়। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে ও নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। যা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ ও মহত্তম অর্জন। এই অর্জনের পিছনে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল মানুষের সামাজিক মর্যাদা, সমান অধিকার, ন্যার্যতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। এই সকল লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে শক্তিশালী গণমাধ্যম ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন অপরিহার্য। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনসহ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করার জন্যে তিনি সাংবাদিকদের আহ্বান জানান।
আরজেএফ’র চেয়ারম্যান এস এম জহিরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজসেবক মোঃ সরদার আমজাদ হোসেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সেকেন্দার আলম শেখ, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সালাম মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব আল-আমিন শাওন, সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্টন খান, প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।