৩১ ডিসেম্বর ২০১৯, আজকের মেঘনা ডটকম, স্পোর্টস ডেস্ক :
আসরের শুরু থেকেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দুর্দান্ত খেলে আসছে। আজ কুমিল্লার বিপক্ষে ম্যাচটির আগে ৮ ম্যাচে জিতেছিল ছয়টিতে। বলা যায়, শেষ চারে এক পা দিয়েই রেখেছে দলটি। পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বর দলও চট্টগ্রাম।
অন্যদিকে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের অবস্থান পাঁচ নম্বরে। সাত ম্যাচে মাত্র দুই জয়ে ছিটকে পড়ার মতো অবস্থা টুর্নামেন্ট থেকে। জয়টা আজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল সৌম্য-সাব্বিরদের।
ঢাকাইয় তৃতীয় পর্বের শেষদিনের প্রথম খেলায় টস জিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
ব্যাট করতে নেমে চট্টলার দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স আর জুনাইদ সিদ্দিকি দুইদিক থেকেই দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন। সিমন্স মাত্র ৩৪ বলে ৫৪ রান করে সৌম্য সরকারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে।
এরপর ৩৭ বলে ৪৫ রান করে রান আউটের ফাঁদে পরেন জুনাইদ সিদ্দিক। দলের ব্যাটিং লাইন-আপের বেহাল দশা শুরু হয় এখান থেকেই।
একের পর এক বিদায়ে রানের চাকা যখন থেমে যাবার উপক্রম, তখন হাল ধরেন এবারের বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা জিয়াউর রহমান। অথচ ড্রাফটে দলই পাননি জিয়া।
ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২১ বলে ৪ ছয়ে খেলেন ৩৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ২০ ওভার শেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৫৯ রান।
সৌম্য সরকার নেন ২ উইকেট। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন সানজামুল ইসলাম, ডেভিড উইজ ও আল-আমীন।
চট্টগ্রামের দেয়া ১৬০ রানে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩০ রানের মাথায় ২২ রান করে বিদায় নেন কুমিল্লার ওপেনার স্টিয়ান ভ্যান জিল। এরপর ৬১ রানের মাথায় ১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার রবিউল ইসলাম।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য সরকার আজ ঝড় তুলতে পারেননি চার-ছয়ের। মাত্র ৬ রান করেই ক্যাচ দেন জিয়াউর রহমানের বলে।
চার নম্বর জুটিতে সাব্বির রহমান ও ডেভিড মালানের জুটি নতুন করে আশা জাগাতে শুরু করে চট্টগ্রামকে হারানোর। দুইজনের জুটি থেকে আসে ৬৪ রান।মালান দ্রুত রান তুলতে পারলেও সাব্বির ১৫ বলে ১৭ রান করে ক্যাচ দেন রায়ান বার্লের বলে।
মালান তবু চেষ্টা করে গেছেন শেষ পর্যন্ত। লিয়াম প্লাঙ্কেটের করা ইনিংসের শেষ ওভারে কুমিল্লার প্রয়োজন ১৬ রান। প্রথম বলে ১ রান নিয়ে স্ট্রাইকে গিয়েই বাউন্ডারি হাঁকান আবু হায়দার রনি।
পরের বলে আর বাউন্ডারি নয়, লং-অনে ওভার বাউন্ডারি আসে রনির ব্যাটে। চার নম্বর বলে প্রান্ত বদল করে স্ট্রাইকে যান মালান। পঞ্চম বলে দুই রান নিতে গিয়েই ঝামেলা বাঁধান মালান। দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। তার ব্যাটে আসে ৫১ বলে ৭৪ রান।
শেষ বলে ৩ রান লাগে, নতুন ব্যাটসম্যান মুজিব উর রহমানের বাউন্ডারিতে ২ উইকেটের (সানজামুলের রিটায়ার্ড হার্ট) জয় নিশ্চিত করে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। চট্টগ্রামের হয়ে ২ উইকেট নেন রুবেল হোসেন। ১টি করে উইকেট নে মেহেদী হাসান রানা, লিয়াম প্লাঙ্কেট, জিয়া ও বার্ল।