২০ জানুয়ারি ২০২০, আজকের মেঘনা ডটকম, ডেস্ক রিপোর্ট :
ঊনসত্তরের মহান গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে ছাত্রদের মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে আসাদ শহীদ হন। তার স্মরণে দিনটি শহীদ আসাদ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
শহীদ আসাদ পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র ছিলেন।
১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে বাঙালি ছাত্রদের ১১ দফা কর্মসূচির মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে জীবন দেন ছাত্রনেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র আসাদুজ্জামান। আসাদ শহীদ হওয়ার পর ২৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ছয় দফা ও ছাত্রদের ১১ দফার ভিত্তিতে সর্বস্তরের মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার নামে ঢাকাসহ সারা বাংলার রাজপথে। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে পতন ঘটে আইয়ুব খানের। এরপরই স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায় বসে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ, জাতীয় গণফ্রন্ট সকরায় ৮টায় এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্ত্বরে শহীদ আসাদ স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করবে।