৩১ মার্চ ২০২০, আজকের মেঘনা ডেস্ক :
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের নাম কভিড-১৯। কারণ গত তিন মাসেই এ করোনা অতিমারী (মহামারীর চেয়ে ভয়াবহ) বিশ্বজুড়ে জাল বিছিয়েছে। এ ভাইরাসের কামড়ে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। সরকারি তথ্য বলছে, এ মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে ভাইরাস সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭ লাখ।
অফিশিয়ালি মারা গেছেন ৩৫ হাজারের ওপরে মানুষ। তাই তো বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানী, গবেষকরা এর প্রতিষেধক তৈরিতে ব্যস্ত। এখন পর্যন্ত সেভাবে সাফল্য আসেনি।
কিন্তু চীনের গবেষকদের দাবি, তারা করোনাকে রুখে দেওয়ার সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র তৈরি করে ফেলেছেন; যা কিনা এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯৯.৯ ভাগ কার্যকর।
সম্প্রতি, গ্লোবাল টাইমস নামের চীনের এক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, চীনা বিজ্ঞানীদের একটি দল করোনাকে ধ্বংস করার মোক্ষম অস্ত্র পেয়ে গেছে। কোনো ওষুধ বা টিকা নয়, চীনা গবেষকরা তৈরি করেছেন একটি ন্যানোমেটেরিয়াল, যা কিনা করোনার জীবাণু শুষে ফেলতে পারে বা এর কার্যক্ষমতা ৯৬.৫-৯৯.৯% পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। এ ন্যানোমেটেরিয়ালটি উৎসেচকের মতো কাজ করে। এটি দিয়ে পেন্ট, ফিল্টার, ইনসুলেশনের মতো জিনিস তৈরি হতে পারে।
ইতিমধ্যে চীনের ওই গবেষক দল নাকি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলছে এ ন্যানোমেটেরিয়াল দিয়ে মাস্ক ও চিকিৎসকদের জন্য পিপিই বানানোর জন্য। যদিও চীনের বাইরে থেকে এ খবরের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব নয়। তবে এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে বুঝতে হবে উৎসস্থলেই সমাপ্তির পথে করোনাভাইরাস।
করোনাভাইরাসের দাপট সবার প্রথমে দেখা যায় চীনেরই উহান শহরে। সেখান থেকেই আস্তে আস্তে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে ভয়ঙ্কর ভাইরাসটি। আপাতত চীনে এর সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে প্রভাব মারাত্মক। ইতিমধ্যেই করোনার জেরে পৃথিবীতে ৩৫ হাজারের ওপরে মানুষের প্রাণ গেছে। মুশকিল হলো, ভাইরাসটির উৎপত্তি ও চরিত্র সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের কাছে তেমন কোনো তথ্য নেই। বিজ্ঞানীদের একটা অংশ দাবি করেন, এটি কোনো প্রাকৃতিক সংক্রমণ নয়, বরং মনুষ্যসৃষ্ট। জৈবিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য চীনই ভাইরাসটি তৈরি করেছে।