দেশে অবৈধভাবে খাদ্যদ্রব্য মজুত প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এই লক্ষ্যে ‘খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন- ২০২০’র খসড়া তৈরি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়াও ১৯৫৬ সালের দ্য ফুড অ্যাক্টও (স্পেশাল কোর্ট) পরিবর্তন আনছে সরকার।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দেশে ‘দ্য ফুড গ্রেইনস সাপ্লাই অর্ডিন্যান্স-১৯৭৯ (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাক্টিভিটি)’ আছে। তবে এই আইনটি অনেক পুরাতন। এটি সংশোধন করে নতুন আইন করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, নতুন আইন অনুযায়ী খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণনের ক্ষেত্রে অপরাধের শাস্তি কঠোর করা হবে। অসাধু লোকদের অপরাধের ধরন বদলেছে। তাই এসব শক্তভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
খাদ্য সচিব আরো বলেন, এখন কাজের পরিধি বেড়েছে, নানা ধরনের প্রেক্ষাপট সামনে আসছে। সেই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে নতুন আইন করা হচ্ছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই শাস্তি বাড়বে। বিশেষ খাদ্য আদালতের আওতায় এসব অপরাধের বিচার হবে।
এখন খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইনের খসড়ার বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেয়া হচ্ছে বলেও জানান খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চাল, পেঁয়াজ, তেলসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্যের অবৈধভাবে মজুত করা ঘটনা ঘটেছে। এমনটা করে ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের ভোগান্তিতে ফেলছেন একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। এতে করে বিব্রত হচ্ছে সরকার। এমতাবস্তায় কঠোর আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।