৩২তম স্প্যান বসানোর ৮ দিনের ব্যবধানে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর পিলারের উপর বসানো হলো ৩৩তম স্প্যান। এর মধ্যে দিয়ে দৃশ্যমান হলো সেতুর ৪৯৫০ মিটার বা ৪.৯৫ কিলোমিটার। যা প্রায় ৫ কিলোমিটারের কাছাকাছি।
পদ্মা সেতুতে মোট ৪১টি স্প্যান বসবে। নতুন এই স্প্যান বসার পরে এখন বাকি আছে আর ৮টি। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে বাকি ৮টি স্প্যান পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে বালে জানা গেছে।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টার সময় ৩৩তম স্প্যান বসানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের।
এর আগে সকালে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনে ৩ হাজার ১৫০ টন ওজনের ৩৩তম স্প্যানটি নিয়ে আসা হয় ৩ ও ৪ নম্বর পিলারের কাছে।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই বাকি সবগুলোই স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই মাসের ২৫ এবং ৩০ তারিখে দিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ৩৪ এবং ৩৫তম স্প্যান বসানো হতে পারে বলে জানা গেছে।
এদিকে, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের পুরো সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি। সবগুলো পিলারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। একটি থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার। এই দূরত্বের লম্বা ইস্পাতের কাঠামো বা স্প্যান জোড়া দিয়েই সেতু নির্মিত হচ্ছে। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হচ্ছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। বর্তামানে সেতুর কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯০ ভাগেরও বেশি।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
উল্লেখ্য, এর আগে, চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ৩২ এবং ৩৩ নাম্বার পিলারের উপর বসেছে ২১ তম স্প্যান এবং ২৩ জানুয়ারি প্রান্তের ৫ এবং ৬ নাম্বার পিলারের উপর বসেছে ২২ তম স্প্যান এবং ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে বসেছে ২৩ তম স্প্যান, ১১ ফেব্রুয়ারি বসেছে ২৪ তম স্প্যান এবং ২১ ফেব্রুয়ারি বসেছে ২৫ তম স্প্যান।১০ মার্চ বসেছে ২৬ তম স্প্যান এবং ২৮ মার্চ বসেছে ২৭ তম স্প্যান। ১১ এপ্রিল বসেছে ২৮ তম স্প্যান। ৪ মে বসেছে ২৯ তম এবং ৩০ মে বসেছে ৩০ স্প্যান।১০ মে বসেছিলো ৩১ তম স্প্যান।১১ অক্টোবর ৩২ তম এবং আজ ১৯ অক্টোবর ৩৩ তম স্প্যান বসানো হলো।