শুরুর পর থেকে সবচেয়ে বেশি গতিশীল এখন পদ্মা সেতুর কাজ। অক্টোবরের পর এবার চলতি মাসেও বসানো হবে ৪টি স্প্যান। ডিসেম্বরে বাকি দু’টি স্প্যান বসানো হলে দৃশ্যমান হবে ৬ দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটারের পুরো পদ্মা সেতু। তবে করোনার কারণে পিছিয়ে পড়া কাজ শেষ করতে প্রকল্পের মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
৪১ স্প্যানের পদ্মা সেতুতে এর মধ্যে বসে গেছে ৩৫টি। বাকি মাত্র ৬টি। যে গতিতে কাজ এগুচ্ছে, তাতে পুরো সেতু দৃশ্যমান করার নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ ডিসেম্বর।
করোনার পরে দীর্ঘস্থায়ী নদীর স্রোত ও পানির উচ্চতা। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুরো বন্ধ ছিলো স্প্যান বসানো। তবে ১০ অক্টোবর মাসের প্রথম স্প্যানটি বসানোর পর পদ্মা সেতুর ইতিহাসে সবচে দ্রুততম সময়ে একমাসে বসানো গেছে রেকর্ড ৪টি স্প্যান। সে গতিতে কাজ চললে চলতি মাসেও, অর্থাৎ এ মাসেও লক্ষ্য ৪টি স্প্যান বসানো। বাকি থাকবে যে দুটি স্প্যান সেগুলো বসানো হবে ডিসেম্বর মাসে।
তবে ৪ মাস স্প্যান বসানো বন্ধ থাকার প্রভাব পড়েছে পুরো প্রকল্পের কাজে। জুন ২০২১ সালে সব কাজ শেষ করে গাড়ি চলাচল শুরুর কথা থাকলেও সেটা আপাতত সম্ভব হচ্ছে না। বিমান যোগাযোগ বন্ধ থাকায় প্রয়োজনীয় বিদেশী বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শকরা এখনো কাজে যোগ দিতে পারেন নি। সব মিলে মেয়াদ বাড়াতে হচ্ছে আবার।
এ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, কাজের অগ্রগতি আমাদের কাঙ্ক্ষিত গতি নয়। আমরা সব বিষয় নিয়ে কাজ করছি। তবে সময় বাড়ছে এটা সত্য।
ডিসেম্বরের মধ্যে স্প্যান বসানোর কাজ শেষ করা গেলেও এসব স্প্যানের উপর রোড ও রেল স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ করতে আরও ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় লাগবে। বাড়তি জনবল পাওয়া গেলে এ সময় কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..