১০ নভেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্ট
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ক্ষতিকর গ্যাসের নিঃসরণজনিত বায়ুদূষণ কমাতে ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে গণপরিবহনের ব্যবহার বাড়াতে হবে। এ লক্ষ্যে যানবাহন ও এর জ্বালানির মানোন্নয়ন, মোটরগাড়ির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিবহন কাঠামো ও এর সার্ভিসের উন্নয়নের ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) জাতিসংঘ ও জাতিসংঘ পরিবেশসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ‘ক্লাইমেট অ্যাকশন অ্যান্ড রেজিলেন্স ইন ট্রান্সপোর্ট’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের ২য় অধিবেশনে ঢাকায় সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি একথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এশিয়া অঞ্চলে গৃহস্থালী যন্ত্রপাতি ও ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেলে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বেড়েছে। ফলে গ্রিন হাউজ গ্যাসের নিঃসরণও আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশই প্যারিস জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষর ও অনুমোদন করেছে। শিল্পবিপ্লব-পূর্ব সময়ের তুলনায় বর্তমানের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এলক্ষ্যে বাংলাদেশ ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন পরিকল্পনা জমা দিয়েছে। এশিয়ার দুই প্রধান অর্থনীতি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিউট্রালিটি ঘোষণা করেছে। সম্মিলিত পরিকল্পনায় সবাই একযোগে কাজ করলেই আমরা সফল হতে পারবো।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে ‘ক্লিন এয়ার এশিয়ার’ ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর গ্লিন্ডা বাথান, স্টকহোম এনভায়রনমেন্টাল ইনস্টিটিউটের এফিলিয়েটেড রিসার্চার লাইলাই লি, ওয়ার্ল্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিটিজ অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট বিভাগের ম্যানেজার চৈতন্য কানুরি, সিনো-কানাডিয়ান কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট রবার্ট আরলি, মঙ্গোলিয়ার পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিশ্বব্যাংক ও জাইকার প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।