০১ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ ঘটেছে। করোনা মোকাবিলায় এবং জনগণের জীবন রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতার কারণে জনজীবন বিপন্ন হচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় সরকারের ভুল পদক্ষেপ, সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারা এবং দ্রুত জনগণকে টিকার আওতায় আনতে না পারার কারণে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা দেখা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সরকারের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমসহ করোনা প্রতিরোধে সামগ্রিক ব্যর্থতা ঢাকতেই সরকার বারবার লকডাউন দিচ্ছে এবং সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সেগুলোও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে। দিন আনে দিন খায়, নিম্ন আয় এবং কর্মহীন মানুষকে অর্থ ও খাদ্য সহায়তা না দিয়ে লকডাউন, শাটডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ কখনো কার্যকর কিংবা বাস্তবায়িত হয় না।
তিনি বলেন, জনগণের জীবন হচ্ছে বিপন্ন, অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে পড়ছে জনগণ। সরকার তাদের অনুগত একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে গিয়ে টিকাসহ করোনা প্রতিরোধের সামগ্রী নিয়ে অবাধ দুর্নীতি ও লুটপাটে জড়িয়ে পড়ছে। টিকা কূটনীতিতেও ব্যর্থ হয়েছে নিশিরাতের সরকার। যখন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই বলছেন ‘সবাই নাকি টিকা দেবে কিন্তু কেউ দিচ্ছে না, সবাই মুলা দেখাচ্ছে’। আবার তিনি বলেছেন- প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টার কারণেই প্রথমবার টিকা কার্যক্রম ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে, তখন সহজেই বলা যায়- সরকার টিকা কূটনীতিতে ব্যর্থ হয়েছে।
‘সাহায্য বা উপহারের টিকা দিয়ে সমগ্র জাতিকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা সম্ভব নয়। সরকারের আশ্বাসে জনগণ আর আস্থা রাখতে পারছে না। সরকার যদি টিকা সংগ্রহ করে তা সঠিকভাবে মানুষকে দিতে পারতো তাহলে দেশে করোনা পরিস্থিতি এতো ভয়াবহ আকার ধারণ করতো না, জনগণের জীবন বিপন্ন হতো না, দেশের অর্থনীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হতো না।’
প্রিন্স বলেন, একইসাথে করোনা সংক্রমিত জেলাগুলোতে চিকিৎসা সংকট দেখা যাচ্ছে। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার-পয়েন্ট-হাইফ্লো নেজাল, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর অভাবে এই সংকট আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। পাশাপাশি করোনা পরীক্ষাও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল্য।
বিএনপির পক্ষ থেকে করোনার অতি ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোতে এই চিকিৎসা সংকট দূরীকরণে জেলা সিভিল সার্জন বরাবরে স্মারকলিপি দেয়া চলমান রয়েছে। তারপরও সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে অবিলম্বে দেশব্যাপী জেলা-উপজেলায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার-পয়েন্ট-হাইফ্লো নেজাল, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ বেড স্থাপন/বৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ এবং একইসাথে বিনামূল্যে অধিকহারে করোনা পরীক্ষা, সকলকে অতিদ্রুত টিকার আওতায় এনে নিম্ন আয় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে করোনা চিকিৎসার আহ্বান জানাচ্ছি।