০৮ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
টুইটার, ফেসবুক, গুগলের বিরুদ্ধে ফের সরব হলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউ জার্সির এক অনুষ্ঠানে বুধবার বক্তৃতা দিয়েছেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, ফেসবুক, টুইটার এবং গুগলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি। মামলা করেছেন প্রতিটি সংস্থার সিইও-দের বিরুদ্ধেও।
ট্রাম্পের অভিযোগ, সংস্থাগুলো মার্কিন বাক-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে। ব্যক্তি-স্বাধীনতাও খর্ব করেছে। আমেরিকার আইন অনুযায়ী যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এদিন সুলভ ভঙ্গিতে তিনি ঘোষণা করেন, ‘মার্ক সাকারবার্গ, সুন্দর পিচাই, জ্যাক ডর্সি সকলেই খুব ভালো মানুষ। কিন্তু তাদের সকলের বিরুদ্ধএই মামলা করেছি।’
মিয়ামির ফেডারেল কোর্টে মামলা করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন আইনের ২৩০ নম্বর অনুচ্ছেদের উপর মামলাটি করা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে যে আইনে ইন্টারনেটে মন্তব্য এবং তার স্বাধীনতার বিষয়টি যুক্ত হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ট্রাম্প এবং তার রিপাবলিকান সহকর্মীরা এই আইনে বদল আনার চেষ্টা করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, আইনটিকে নিজেদের সুরক্ষাবলয় হিসেবে ব্যবহার করছে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলো।
ফেসবুক, টুইটার এবং গুগলের সঙ্গে ট্রাম্পের সংঘাত অনেকদিনের। নির্বাচনের সময় ট্রাম্পের একাধিক টুইটার পোস্ট নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিল সংস্থাটি। প্রশ্ন তোলা হয়েছিল ট্রাম্পের পোস্টের সত্যতা নিয়ে। তবে ক্যাপিটল ভবনে হামলার পর ফেসবুক, টুইটার এবং গুগল সকলেই ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেয়। অভিযোগ, ট্রাম্পের বক্তব্য থেকে সহিংসতা ছড়াচ্ছে। কারণ, নির্বাচনে হেরেও ট্রাম্প হার স্বীকার করছেন না এবং দলীয় কর্মী এবং সমর্থকদের উসকে দিচ্ছেন।
ওই ঘটনার সময়েও সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প। এবার তিনি জানিয়ে দিলেন, প্রতিটি সংস্থার বিরুদ্ধেই আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো এবং তাদের সিইও-রা অবশ্য এখনো এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেননি। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি