৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং, আজকের মেঘনা ডটকম,
ডেস্ক রিপোর্ট :
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়ার মতো তার শারীরিক পরিস্থিতি এখনো হয়নি। তাকে আরো কত দিন হাসপাতালে থাকতে হবে, সে ব্যাপারে মেডিকেল বোর্ড এ মুহূর্তে সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না।
তিনি আরো জানান, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তার চিকিৎসা দিচ্ছেন। তাকে আরো নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন বলে চিকিৎসকেরা মনে করছেন। সে কারণে খালেদা জিয়াকে আরো কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। সূত্র: প্রথম আলো
ড. জাহিদ বলেন, মেডিকেল টেস্টের জন্য ৯ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং তারপর থেকে একটি মেডিকেল টিম নিয়মিত তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আসছে। সূত্র: দ্যা ডেইলি স্টার
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পেটে পানি বেড়েছে। ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালেন্স দেখা দিয়েছে। এ কারণে ঘুম হচ্ছে না। কয়েকদিন ধরেই তার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। বোর্ড নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়ার লিভারের সমস্যা জটিল হচ্ছে। আসলে এর শতভাগ চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। বোর্ড সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু একাধিক জটিলতা থাকায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ জন্য তাকে বার বার উন্নত সেন্টারে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রেসার, ডায়াবেটিসসহ স্বাস্থ্যের প্রায় সব প্যারামিটারই ওঠানামা করছে। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে তা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে। গত দুদিনে অনেক টেস্ট করা হয়েছে। বোর্ড কয়েকটির রেজাল্ট দেখে উদ্বিগ্ন। সূত্র: বাংলানিউজ২৪.কম
এদিকে, রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরার পর তিনি হাসপাতালে বেগম জিয়ার কেবিনে দীর্ঘ ৪০ মিনিট অবস্থান করেন এবং চিকিৎসার খোজখবর নেন।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগে ভুগছেন। তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণের পাশাপাশি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত তিনি। নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত ৯ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। এরপর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। তার আগে গত বছরের জুনে বিএনপি নেত্রীর এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।