১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং, আজকের মেঘনা ডটকম,
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
জনগণ আর বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না জানিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম চালিয়ে গেলে জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত হবে।
আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন সময় খুব কম, আসুন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাই। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। এ দেশের মানুষ সরকারকে বারবার চলে যেতে বলছে। তাদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। কিন্তু এই সরকার জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে আছে। এই প্রতিবাদগুলোই জাফর উল্লাহ ভাই করে গেছেন। তাঁর উদ্দেশ ছিল এই ফ্যাসিস্ট সরকার সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে এই দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে। যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। জাফর উল্লাহ ভাই সংগ্রাম করে গেছেন। আসুন আমরা এই দেশ জাতিকে রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করে করি।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এই সরকার প্রতারক, তাদের সঙ্গে কথা বলে, আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা যাবে—এটা যদি ভাবেন তাহলে আপনারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। যারা ভোট চুরি করে নিয়ে যায়, তাদের সঙ্গে আপস করে চলা যায় না।’
সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের ক্ষমতা কাঠামো বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া জনগণের মুক্তি সম্ভব নয়। নীতি এবং কাঠামোগত পরিবর্তন ছাড়া বাস্তব পরিবর্তন সম্ভব নয়।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সরকার কতখানি অসহায়, বাইডেনের সঙ্গে একটা ছবিকে বাজারজাত করছে। এই সেলফি, সাইডলাইনে বৈঠক কি সরকারকে রক্ষা করবে? করবে না। আন্দোলনের বাজার ভেঙে যায়নি, নতুন করে আবার জমে উঠছে।’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, বিএনপির মিডিয়া সেলের জহির উদ্দীন স্বপন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারপারসন ও ট্রাস্ট অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা প্রমুখ