• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন

বেলি রোড ট্রাজেডি : কুমিল্লার রিয়ার মালয়েশিয়া যাওয়া হলনা

রিপোর্টার : / ৬১ বার পঠিত
আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪

বিপ্লব সিকদার :

বেইলি রোডে কাচ্চি খেতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল কুমিল্লার তিন বোন।ফৌজিয়া আফরিন রিয়া আগামীকাল শনিবার মালায়েশিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল। এর আগেই বোনদের নিয়ে কাচ্চি খেতে গিয়ে লাশ হয়ে আগুনে পুড়ে লাশ হয়ে ফিরেছেন বাড়িতে।

ঢাকার বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কুমিল্লার দুই আপন বোন ও এক খালাতো বোন নিহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন—আপন দুই বোন ফৌজিয়া আফরিন রিয়া, সাদিয়া আফরিন আলিশা ও খালাতো বোন নুসরাত জাহান নিমু। সূত্র -আজকের পত্রিকা

ফৌজিয়া আফরিন রিয়া লালমাই উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের চরবাড়িয়া এলাকার হাজি কোরবান আলীর মেয়ে। রিয়া মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আর সাদিয়া আফরিন আলিশা ঢাকার ভিকারুননিসা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

অপর দিকে কোরবান আলীর ভায়রা ভাই কুমিল্লা সদর উপজেলার বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুসের মেয়ে নুসরাত জাহান নিমু (১৮) ঢাকা সিটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

আজ শুক্রবার সকালে তিনজনের মরদেহ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় নেন স্বজনেরা। এ সময় স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে বাড়ির পরিবেশ। দূরদূরান্ত থেকে স্বজনেরা আসেন সান্ত্বনা দিতে।

আজ দুপুরে কোরবান আলীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আত্মীয়স্বজন বিলাপ করতে। এ সময় দুই মেয়ে হারিয়ে পাগলপ্রায় গার্মেন্টস ব্যবসায়ী কোরবান আলী জানান, তাঁর বড় মেয়ে ফৌজিয়া আফরিন রিয়া মালয়েশিয়া ইসলামি ইউনিভার্সিটিতে এমবিএ ফাইনাল পরীক্ষার্থী ছিলেন। কয়েক দিন আগে তাঁর সঙ্গেই বাংলাদেশে আসেন। আগামীকাল শনিবার রিয়ার মালয়েশিয়া ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ডুকরে কেঁদে ওঠেন কোরবান আলী। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে মালয়েশিয়া ফিরে যাবে। তাই তারা দুই বোন এবং আমার ভায়রা ভাইয়ের মেয়েসহ প্রথমে পিৎজা হাটে যায়। সেখানে কার্ড পাঞ্চ করে। প্রথমে বেইলি রোডে আগুনের ঘটনা শুনে আমরা নিশ্চিত হই মেয়েরা ভালো আছে।

‘পরে হঠাৎ ফোন আসে। মেয়েরা চিৎকার করতে করতে বলে, “বাবা আমরা বেইলি রোডে কাচ্চি ভাইয়ে। এখানে আগুন লাগছে। আমাদের বাঁচাও বাঁচাও।’ এরপর দৌড়ে সেখানে গিয়ে দেখি, আমার দুই মেয়েসহ আমার ভায়রা ভাইয়ের মেয়ের মরদেহ পড়ে আছে। আমি এ শোক কেমনে সইব!’

চাচা লোকমান হোসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি প্রথমে যারা বেঁচে ছিলেন তাঁদের বিল্ডিং থেকে নামানো হচ্ছে। যখন জীবিতদের নামানো শেষ হয়, তখন কলিজা মোচড় দিয়ে ওঠে। আমার ভাতিজারা আর বেঁচে নেই।’

আজ বাদ জুমা নুসরাত জাহান নিমু (১৮) এবং বিকেল ৪টার দিকে রিয়া ও আলিশার জানাজা শেষে তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

এদিকে ঢাকা বেইলি রোডের কাচ্চি ভাইয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কুমিল্লার কতজন নিহত তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি কুমিল্লা জেলা প্রশাসন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

পুরাতন সংবাদ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১