মেঘনা উপজেলায় বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা মোবাইল ব্যাংকিং “নগদ” হ্যাকিং করে ভাতা ভোগীদের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র। বিষয়টি উপজেলা সমাজ সেবা অফিস নিশ্চিত করেছেন। সমাজ সেবা অফিস সূত্রে জানা যায় সকল ভাতা মোবাইল ব্যাংকিং নগদ এর মাধ্যমে ভাতা ভোগীদের মোবাইলে পৌঁছে দেওয়া হয়। ২০২১ -২০২২ অর্থ বছরের ৩ য় কিস্তির টাকা সকল ভাতা ভোগীদের মোবাইল হিসাব নম্বরে পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪০ থেকে ৫০ জন ভাতা ভোগীর অর্থ হ্যাকিং করে হাতিয়ে নেওয়ার মৌখিক অভিযোগ পাওয়া গেলেও ৫-৬ জন ভাতা ভোগী উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগ কারীরা হলেন ভাওরখোলা ইউনিয়নের খিরাচক গ্রামের রমিজ উদ্দিনের মেয়ে মোসাঃ শিল্পি আক্তার (প্রতিবন্ধী) এম আই এস নং ০৩১৯০০৮৬১২২ তিনি অভিযোগ পত্রে লিখেন ০১৮৬৫৯৮৫০৪২এই নাম্বার থেকে ফোন করে প্রতারণা করে টাকা হ্যাকিং করে নিয়ে যায়। চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের টিটির চর গ্রামের প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগী আব্দুল্লাহ আল মামুন এম আই এস নং ০৩১৯০০৩২৪৪০ এর ০১৮৮৯৬৪০২৫৭ নাম্বার থেকে ফোন করে হ্যাকিং করে অর্থ নিয়ে যায়। এমন আরো কয়েকটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এদিকে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সমীর কুমার সাহা অভিযোগ পত্রের আলোকে গত ২৭ এপ্রিল কুমিল্লা জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন। কিন্তু এ বিষয়ে ভাতা ভোগীরা প্রতিকার পাচ্ছেনা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার বলেন এটি সারাদেশেই হচ্ছে তবে এই ক্ষেত্রে ভাতা ভোগীদের সচেতন হওয়া জরুরি আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার বলেন প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবা যারা ভাতা ভোগী তারা মোবাইল সম্পর্কে সচেতন না এবং সহজ সরল প্রতারক চক্র ফোন করে লোভ দেখালে গোপন নাম্বার বলে দেয় ফলে প্রযুক্তির অপব্যবহার করে হ্যাকিং করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে সবাই মিলে ভাতা ভোগীদের সচেতন করা ছাড়া পথ নেই।