২৯ নভেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
চার শিশুকন্যাকে গলাকেটে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক গৃহবধূ। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সকালে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রামের নুহ পিপরোলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ওই নারীর নাম ফারমিনা। ২০১২ সালে খুরশিদ নামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তাদের নিহত চার সন্তান হলো- মুসকান, আলসিফা, মিসকিনা ও আট মাসের মেয়ে সন্তান।
পুলিশ জানিয়েছে, চার শিশুকন্যাকে একইভাবে খুন করা হয়েছে। সবাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকাটা হয়েছে। তাদের মা-ই খুনের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা পুলিশের। তবে কী কারণে চার সন্তানকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করতে চাইছিলেন ওই নারী, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
প্রতিবেশীদের দাবি, প্রথমে ৩ সন্তানের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন তারা। পরে জানা যায় সবচেয়ে ছোট আট মাসের মেয়েকেও খুন করা হয়েছে। এরপর নিজের গলাকাটার সময়ই ধরা পড়ে যান ফারমিনা। এ সময় তার স্বামী অন্য ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়েই খুরশিদ ঘরে ঢোকেন। স্থানীয় সময় রাত ৩টার দিকে খুরশিদ ঘর ভেতর থেকে আটকানো দেখতে পান।
এরপর ভেন্টিলেটর দিয়ে উঁকি দিয়ে খুরশিদ দেখতে পান নিজের গলা কাটছেন ফারমিনা। পরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ৪ শিশুকে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান। ফারমিনার হাত থেকে ছুরি নিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুনহানা পুলিশ স্টেশনের এসএইচও সন্তোষ কুমার বলেন, প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে কী কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলো তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। খবর: টাইমস অব ইন্ডিয়া।