১০ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
২০২২ সালের জুন মাসে পদ্মা সেতু চালু হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজ’ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম৷ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার। প্যানেল আলোচক ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সিনিয়র গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফিরদৌসি নাহার, ইকোনোমিক রিসার্চ গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ড. সাজ্জাদ জহির, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন ও রাষ্ট্রদূত রেনজে তেরিঙ্ক৷
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নাউ ইট ইজ ফিজিক্যালি কমপ্লিট। আই থিঙ্ক, বাই জুন ২০২২ উই উইল ওপেন দ্য পদ্মা ব্রিজ। আমি আট বছর সেতু বিভাগের সচিব ছিলাম। ফলে আমি এখনও এটিকে দেখাশোনা করে থাকি।’
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে ৪১তম অর্থাৎ সর্বশেষ স্প্যান। ৪০তম স্প্যান বসানোর ৬ দিনের মাথায় বসানো হলো এ স্প্যান। এর ফলে ৬ হাজার ১৫০ মিটার লম্বা পুরো সেতু দৃশ্যমান হলো।
গত দুই মাসে সেতুতে আটটি স্প্যান বসিয়ে রেকর্ড গড়েছেন দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা। এ মাসে দুটি স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে বিজয়ের মাসে স্প্যান বসানোর কাজ সম্পন্ন হলো। সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর ৪১তম স্প্যান ‘টু-এফ’ সফলভাবে স্থাপন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক (মূল সেতু) দেওয়ান আবদুল কাদের।
অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র অর্থ সচিব বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভে কী পরিমাণ ক্ষতি হলো বা হবে তার উপর ভিত্তি করে একটি প্রতিবেদন সরকারের সর্বচ্চ পর্যায়ে পাঠানো হবে। সেখানেই নতুন প্রণোদনা প্যাকেজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। তারা কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহায়তা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে দরিদ্র মানুষদের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনির মধ্যে আনার উপরে গুরুত্ব আরোপ করেন।