১১ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীতে বেড়েছে সবজির সরবরাহ। ফলে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কমছে।
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর অন্যতম বড় সবজির আড়ত কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পুরাতন আলু। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৪৫ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি নতুন আলুর দাম ছিল ৫৫-৬০ টাকা। আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। দাম কমেছে ফুলকপি, বাঁধাকপি ও পেঁয়াজের। তবে কারওয়ান বাজার থেকে কিনে নিয়ে শহরের বিভিন্ন খুচরা বাজারের এই দামের চেয়ে ১০-১৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
ফুলকপি ও বাঁধাকপি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০-২০ টাকা প্রতি পিস। দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, চালের দাম আগের মতোই স্থিতিশীল আছে। প্রতি কেজি আটাশ ধানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৭-৪৮ টাকায়। চিনিগুড়া ৮৩-৮৬ টাকা, বাসমতি ৫৮-৬৬ টাকা, আতপ চাল ৫৪-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দাম কমলেও সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হতো ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। কিন্তু আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। মুরগির দাম আগের মতোই আছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৩০ টাকা কেজি। এ সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি জাতের মুরগি ২৩০ টাকা কেজি, দেশি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪২০-৪৫০ টাকা কেজি দরে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মো. সেলিম বলেন, ‘এ সপ্তাহে প্রচুর সবজির গাড়ি এসেছে। মানে সবজি অনেক এসেছে। বেগুন ৩০-৪০ টাকা কেজি, সিম ৩০-৩৫ কেজি, করলা ৩৫-৪০ টাকা কেজি, মুলা ১০-১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’
টমেটো ও বরবটির দাম কমেনি। পাকা টমেটোর দাম গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকার মধ্যে। বাজারভেদে দাম কম-বেশি হচ্ছে। বরবটি গত সপ্তাহের মতো ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১২০ টাকা কেজি দরে।
মগবাজার থেকে কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে এসেছেন এস এম রাজিব হোসেন। তিনি বলেন, ‘দাম সহনশীল মনে হচ্ছে। আমি আড়াই কেজি শালগম কিনেছি ৩০ টাকায়।’