• শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৬ অপরাহ্ন

আত্মসমর্পণ করেই জামিন পেলেন পাপুলের স্ত্রী-মেয়ে

রিপোর্টার : / ২০৯ বার পঠিত
আপডেট টাইম : রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০

২৭ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় আদালতে আত্মমর্পণ করে জামিন পেলেন সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী সদস্য সেলিনা ইসলাম ও তার মেয়ে ওয়াফা ইসলাম।

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মসমর্পণ করে তারা জামিন আবেদন করেন। এর পর শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।

এর আগে একই আদালত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী সংরক্ষিত নারী সদস্য সেলিনা ইসলামসহ চার জনের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ এবং ৯২টি তফসিলভুক্ত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।

পাপুল কুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত ১১ নভেম্বর তিনিসহ তার স্ত্রী এমপি সেলিনা, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক।

২৬ নভেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

গত ২২ ডিসেম্বর বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন নামঞ্জুর করে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।

দুদকের মামলায় অভিযোগ করা হয়, পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় দুই কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

এ ছাড়া ‘কাগুজে প্রতিষ্ঠানের’ আড়ালে জেসমিন পাঁচ ব্যাংকের মাধ্যমে ২০১২ থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১৪৮ কোটি টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে অর্থপাচার করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়।

মামলায় প্রধান আসামি জেসমিনের বিষয়ে বলা হয়, তিনি শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় বোন সেলিনা ইসলাম ও ভগ্নিপতি শহীদ ইসলাম পাপুলের অবৈধ অর্জিত অর্থ মানিলন্ডারিং করে বৈধতায় রূপ দিতে ‘লিলাবালি’ নামে একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

বিভিন্ন ব্যাংকে তার নামে প্রায় ৪৪টি হিসাব পাওয়া গেছে। যেখানে শুধু এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকেই রয়েছে ৩৪টি এফডিআর হিসাব। আসামি শহীদ ইসলাম পাপুল এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন, বিধায় এ সুবিধা গ্রহণ করতে তার কোনো বেগ পেতে হয়নি।

এসব অভিযোগে গত ১৭ জুন পাপুলের স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অন্তত ৪৪টি ব্যাংক হিসাবে ১৪৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

এ ছাড়া সেলিনা ইসলামের নামে ২৯৫টি এফডিআরে ২০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, জেসমিনের নামে ২০টি এফডিআরে ১ কোটি, পাপুলের ২৩টি এফডিআরে ২ কোটি ১৮ লাখ এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের নামে ৪১টি এফডিআরে ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

পুরাতন সংবাদ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০