১৫ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অনিয়মিত এবং বাদ পড়াদের নিয়ে একটি ছায়া জাতীয় দল তৈরির কথা আগেই ভেবেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। অবশেষে আজকের বোর্ড সভায় সেটির অনুমোদন দেওয়া হলো। এর ফলে এখন থেকে জাতীয় দলের রাডারে থাকা ক্রিকেটারদের অনুশীলন সুবিধাদি নিয়ে আর ভাবতে হবে না।
বিসিবি সভাপাতি জানতে পেরেছিলেন মিরপুর শের-ই-বাংলায় পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটাররা অনুশীলন করতে গিয়ে বিসিবি’র সুযোগ সুবিথা পান না। তাদের কথা ভেবেই মূলত এই পদক্ষেপ নিয়েছে টাইগার ক্রিকেট প্রশাসন। দলের নামকরণ করা হয়ছে বাংলাদেশ টাইগার। এই দলে যারা থাকবেন নিয়মিতই বিসিবি’র অনুশীলন সুবিধাদি নিতে পারবেন। বছরের ৩৬৫ দিন ২৪ ঘণ্টা তারা নিবিড় অনুশীলনে নিজেদের জাতীয় দলের জন্য তৈরি করতে পারবেন। এবং পুরোপুরি তৈরি হলে আবার জাতীয় দলের আঙিনায় ফিরে যাবেন। তাদের দেখভালের দায়িত্ব স্থানীয় কোচদের দেওয়া হলেও মূল নির্দেশনা আসবে জাতীয় দলের হেড কোচ থেকে।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিসিবি’র ১০ম বোর্ড সভা শেষে একথা জানান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা জাতীয় দলের কথা বলেছিলাম আপনাদের। সেটাও আজ অনুমোদন দেওয়া হলো। এখানে বাংলাদেশ টাইগার নামে একটা শ্যাডো ন্যাশনাল টিম আমরা তৈরি করতে যাচ্ছি। এটার ব্যাকগ্রাউন্ড হচ্ছে, জাতীয় দলে যারা ডাক পায় তারা যদি আবার না পায়… যেমন কখনো ইমরুল পায় না কখনো সৌম্য থাকে না ওরা নাকি আমাদের এখানে অনুশীলন করতে পারে না। মানে আমাদের সুবিধাদি ব্যবহার করতে পারে না। সেটা তো একটা বড় সমস্য। তাহলে ওরা কোথায় অনুশীলন করবে? কারো যদি কোনো ঘাটতি থাকে শিখবে কোথায়? এটা থেকে আমরা ঠিক করেছি সারা বছর ২৪ ঘণ্টা এখানে অনুশীলন চলবে। স্থানীয় কোচ দিয়ে করাব, হেড কোচের নির্দেশ ক্রমে।’
এই দল করার পেছনে আরেকটা চিন্তাও কাজ করেছে। কোনো সিরিজে জাতীয় দলের ক্রিকেটারের বিকল্প নেওয়া হবে এখান থেকেই, ‘কোনো একটা পজিশনে যদি ক্রিকেটার বাছাই করতে হয়, এই দল থেকে সরাসরি নিয়ে নেবে। এক পজিশনের জন্য কয়েকজন ক্রিকেটার থাকবে। যেন দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সঠিক হয়।’
ছায়া জাতীয় দল হিসেবে অনেক দেশে ‘এ’ দল চালু আছে। কিন্তু বাংলাদেশে ‘এ’ দলের কার্যক্রম অনেক দিন ধরেই স্থবির। সাম্প্রতিক সময়ে ‘এইচপি’ ও ‘ইমার্জিং’ নামের দুটি দল নিয়ে অন্য দেশের ‘এ’ দলের সঙ্গে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ।
২০১৬ সালের অক্টোবরে দায়িত্ব পাওয়া এই নির্বাচক কমিটির মেয়াদ গত ৫ বছরে কয়েক দফা বেড়েছে। সর্বশেষ বার বাড়ানো মেয়াদ শেষ হয়েছে গত মাসেই। মঙ্গলবার নতুন করে আবার দুই নির্বাচকের সঙ্গে চুক্তি বাড়ালো বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।