১৬ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
সেনাবাহিনীর গুম-অপহরণ-হত্যা আর গ্রেপ্তার আতঙ্কে অতিষ্ঠ নাগরিকরা মিয়ানমার ছেড়ে ভারতে প্রবেশ করছেন।
গত ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থানের পর এখন পর্যন্ত দেশটির ৯ হাজারের বেশি নাগরিক ভারতের মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে মিয়ানমারের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও রয়েছেন বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
মিয়ানমারের ভারত সীমান্তবর্তী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেনা অভ্যুত্থানের অশান্তি এড়াতে মিয়ানমারের এসব নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছেন।
অভ্যুত্থান বিরোধী আন্দোলনে নেই, অথচ বর্তমান শাসকদের মেনে নিতে পারছেন না, এমন সব রয়েছেন এই দলে।
মিজোরামে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে চীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীসহ দেশটির ক্ষমতাচ্যুত দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা রয়েছেন।
মিজোরামে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের চীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম সালাই লিয়ান লুয়াই। তাকে ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। গত সোমবার রাতে তিনি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেন।
রাজ্যটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মিয়ানমারের ২৪ জন আইনপ্রণেতা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন। তারা বিশেষ করে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় আশ্রয় নিয়েছেন।
মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা মঙ্গলবার জানিয়েছেন, রাজ্যে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের ত্রাণসহায়তা দেওয়ার জন্য তার সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছে। বরাদ্দ করা এই অর্থ খুব শিগগির ছাড় দেওয়া হবে।
সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন মিজোরামের টিয়াও নদীর তীরবর্তী ঘন বনাঞ্চলে। এসব শরণার্থীদের মাঝে গণতন্ত্রপন্থী যোদ্ধারাও রয়েছেন।
এসব শরণার্থী ও যোদ্ধাদের গতিবিধির ওপর গভীর দৃষ্টি রাখছে ভারত প্রশাসন। তাদের নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে অঞ্চলগুলো মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থীদের বিশাল ঘাঁটিতে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।
যোদ্ধারা মিজোরামের গভীর বনে শিবির বানিয়ে প্রশিক্ষণ নেবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।