২৩ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
ঠিক এক বছর আগে করোনার প্রথম ঢেউয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আক্রান্ত হয়েছিলেন আরো বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, দক্ষিণ কোরিয়ার মতোই উত্তর কোরিয়াও আক্রান্ত হয়েছিল করোনায়। যদিও গত এক বছরে উত্তর কোরিয়ার প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার প্রশাসন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানিয়েছে, তাদের দেশে করোনার একটি কেসও নেই। মোট ৩০ হাজার মানুষের টেস্ট করা হয়েছিল। কারো শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। গত ৪ থেকে ১০ জুনের মধ্যে ৭৩৩ জনের টেস্ট করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৪৯ জনের শরীরে ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষ্যণ পাওয়া গেছে। কিন্তু কারো শরীরে করোনার সংক্রমণ মেলেনি।
তবে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, উত্তর কোরিয়ার দেওয়া তথ্যে তাদের ভরসা নেই। অভিযোগ, উত্তর কোরিয়ার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অত্যন্ত নিম্ন মানের। এর আগে সেখানে করোনার প্রকোপ হয়েছিল বলেই শোনা গেছিল। চীনের সঙ্গেও তাদের সীমান্ত খোলা থাকে। যাতায়াত হয়। ফলে সংক্রমণ হয়নি এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। উত্তর কোরিয়া হয় ঠিক মতো করোনার পরীক্ষা করেনি, নইলে তথ্য গোপন করছে।
উত্তর কোরিয়া অবশ্য জানিয়েছে, করোনা আটকাতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশের মানুষকে বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি। বাইরে থেকে কাউকে দেশে আসতে দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, চীনের সঙ্গে যোগাযোগও কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বস্তুত, তার প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে পড়েছে বলেও অনেকে মনে করছেন।
এদিকে ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন না নিলে জেলে ভরে দেওয়া হবে। এক বিবৃতি তিনি বলেছেন, দেশে একটি সমস্যা প্রকট হচ্ছে। অনেকেই করোনার টিকা নিতে চাইছেন না। যারা ভ্যাকসিন নিতে চাইবেন না, প্রশাসন তাদের গ্রেপ্তার করে টিকা দিয়ে দেবে। ফিলিপিন্সে ভ্যাকসিন না নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, কেউ ভ্যাকসিন নিতে না চাইলে ভারত অথবা অ্যামেরিকায় গিয়ে থাকতে পারেন, কিন্তু ফিলিপিন্সে থাকতে পারবেন না। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি