২৪ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বিজেপি কর্মীরা। একে একে তারা যোগ দেবেন তৃণমূলে। সেই দলবদলের আগেই বিজেপি কর্মীদের ‘ভাইরাসমুক্ত’ করতে স্যানিটাইজার ছিটিয়ে ‘শুদ্ধ’ করছেন তৃণমূল কর্মীরা।
অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমের ইলামবাজারে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) এভাবেই শাসকদলে নেওয়া হলো বিজেপি কর্মীদের।
এর আগে এই জেলারই লাভপুরে বিজেপি কর্মীদের একাংশ টোটো করে এলাকা ঘুরে প্রচার করেছিলেন— বিজেপি করে অন্যায় করেছেন। এবার তৃণমূলে ফিরতে চান। তাদের ফেরানোও হয়েছিলো। এরপর রাজ্যের কোথাও বিজেপি কর্মীদের গঙ্গা জল দিয়ে ‘শুদ্ধ’ করে তৃণমূলে ফেরানো হয়েছে। কোথাও আবার বিজেপি কর্মীকে মাথা মুড়িয়ে ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করিয়ে দলে নেয় তৃণমূল। এবার দলে নেওয়া হল স্যানিটাইজার ছিটিয়ে, ‘ভাইরাসমুক্ত’ করে।
বোলপুর বিধানসভা এলাকার ইলামবাজার এলাকায় দেবীপুরে বিজেপির ১৫০ কর্মী বৃহস্পতিবার গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। সেই অনুষ্ঠানের জন্য করোনা বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করেই মঞ্চ বেঁধে শুরু করা হয় যোগদান অনুষ্ঠান। এই যোগদান কর্মসূচিতে বেশির ভাগই বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্য ছিলেন। সেখানে একটি যন্ত্র দিয়ে স্যানিটাইজার ছিটিয়ে দেওয়ার পর যোগদানকারীদের তৃণমূলে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ইলামবাজার তৃণমূলে নেতা দুলাল রায় বলেন, যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ভাইরাস ছিলো। তাই দলে নেওয়ার আগে তাদের ভাইরাসমুক্ত করার লক্ষ্যে স্যানিটাইজ করা হলো। এরপরেই ওই বিজেপি কর্মীদের দলে নেওয়া হয়েছে।’
এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বোলপুর বিজেপির নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, তৃণমূল সবচেয়ে বড় ভাইরাস। জেলা জুড়ে যে অরাজকতা সৃষ্টি করছে ওরা, এ ঘটনাই তার প্রমাণ। বিজেপির সাধারণ কর্মীরা নিজেদের রক্ষা করতে তৃণমূলে যাচ্ছেন। কারণ একটাই, তাদের উপর নির্মম অত্যাচার চলছে।