২৬ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা না ফেরানো পর্যন্ত নির্বাচন হলে তাতে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) নেত্রী মেহবুবা মুফতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কাশ্মীরের নেতাদের বৈঠকের পর তিনি এ মন্তব্য করলেন।
মেহবুবা মনে করেন, জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের আগে উপত্যকার মানুষদের আস্থা ফেরানোর দিকে নজর দেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের। রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে কেন্দ্রকে এমনটাই ‘পরামর্শ’ দিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী।
জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় রাজনৈতিক দল পিডিপির নেত্রীর মতে, উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচন বিলম্বিত করা যেতে পারে। তবে ভোটের আগে কাশ্মীরিদের ধূলিসাৎ হয়ে যাওয়া আস্থা অর্জন করাই নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
এক সাক্ষাতকারে মেহবুবার দাবি, ‘উপত্যকায় নির্বাচনের আগে জনমানসে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে আমাদের। যে আস্থায় ধাক্কা লেগে পুরোপুরি ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। মানুষজন হতাশাগ্রস্ত। আগে তাদের কাছে পৌঁছানো জরুরি। নির্বাচন তো অপেক্ষা করতেই পারে।’
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করেছে মোদি সরকার। তখন থেকেই ওই মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে সরব মেহবুবাসহ উপত্যকার রাজনীতিকদের একাংশ।
কাশ্মীরের মর্যাদা ফেরানোর ওই দাবিতে এখনো অনড় মেহবুবা গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তার সঙ্গে বৈঠকে শামিল হওয়া নিয়েও যুক্তি দিয়েছেন। ওই বৈঠকে মেহবুবার পাশাপাশি উপত্যকার ৮টি দলের ১৪ জন রাজনীতিক উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করার বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে মেহবুবা বলেছেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম উপত্যকার আস্থা অর্জনে তা সহায়ক হবে। হয়তো কিছু মানুষকে তা স্বস্তিও দেবে। সে কারণেই ওই বৈঠকে হাজির হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছিল।’
৩৭০ ধারা পুনর্বহাল যে কেবল তাদের মুখের কথা নয়, তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন মেহবুবা। তিনি বলেছেন যে, ‘রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমি মুখ্যমন্ত্রী হবো না। কারণ,মানুষের কাছে এই বার্তা দিতে চাই যে এটা কেবল স্লোগান নয়।’
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে মোদি আশ্বাস দিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচনের পর ‘যথাসময়ে’ বিশেষ মর্যাদা ফিরে পেতে পারে জম্মু ও কাশ্মীর। তবে তার আগে বিধানসভা ভোটের আসন পুনর্বিন্যাসে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, যাতে উপত্যকায় নির্বাচন করানো যায়।