২৭ ডিসেম্বর ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
ঝালকাঠীর সুগন্ধা নদীতে আগুনে পোড়া এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে কর্মরত তিনজন (মাষ্টার এবং ড্রাইভার) কর্মচারীর নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর দেওয়া অনুমোদন ছিল না। পাশাপাশি লঞ্চের ইঞ্জিন পরিবর্তনের বিষয়ে এবং ইঞ্জিন পরিবর্তন পরবর্তী যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে কারিগরী পরিদর্শন, অনুমমোদন নেওয়া হয়নি। অনভিজ্ঞ মিস্ত্রি/ফিটার দ্বারা ইঞ্জিনটি পরিবর্তন করা হয়েছিল।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমডি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে লঞ্চটির ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে তৎপর হয় র্যাব। সোমবার সকালে কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে হামজালাল শেখ (৫৩) নামে লঞ্চের এক মালিককে গ্রেফতার করে র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-৮ ও ১০ এর সদস্যরা।
লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম ও দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমাকে গ্রেপ্তার করতেও র্যাব অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।