পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দায়ের করা অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনার জন্য জাতীয় পরিষদের বহুল প্রত্যাশিত অধিবেশন বিরোধীদলীয় নেতা শেহবাজ শরীফ প্রস্তাব পেশ করার পরে ৩১ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছিল।
সোমবারের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বিরোধী দলের নেতা শেহবাজ শরীফ নিম্নকক্ষে প্রস্তাব পেশ করেন, যা সমর্থনে আইন প্রণেতাদের সংখ্যা নির্ধারণের জন্য গণনা পদ্ধতি অনুসরণ করে। ১৫৫ জনেরও বেশি আইনপ্রণেতা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রস্তাব উত্থাপনের পক্ষে ছিলেন। গণনা শেষে ডেপুটি স্পিকার শেহবাজকে প্রস্তাব পেশ করার অনুমতি দেন।
‘এই রেজুলেশনের মাধ্যমে, ইসলামিক রিপাবলিক অফ পাকিস্তানের সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের ১ ধারার অধীনে, এই হাউস সিদ্ধান্ত নেয় যে, এটি প্রধানমন্ত্রী, জনাব ইমরান খান নিয়াজির উপর কোন আস্থা রাখে না, এবং ফলস্বরূপ, তিনি ধারার অধীনে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করবেন,’ পিএমএল-এন সভাপতি বলেন। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ করার পরে, ৩১ মার্চ স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা পর্যন্ত অধিবেশন স্থগিত করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৫ শে মার্চ, সংসদের নিম্নকক্ষ অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ছিল, কিন্তু একজন সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে সংসদীয় ঐতিহ্য অনুসরণ করে, শুধুমাত্র সূলা ফাতেহা পাঠ করা হয়েছিল এবং বক্তৃতা দেয়া হয়েছিল যার পরে স্পিকার সোমবার পর্যন্ত সংসদের অধিবেশন মুলতবি করেন। এ দিন পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অধিবেশন শুরু হয় এবং পিটিআই সংসদ সদস্য খেয়াল জামানের জন্য দোয়া করা হয়।
ক্ষমতাসীন পিটিআই-এর শাহ মাহমুদ কুরেশি, শিরিন মাজারি, আসাদ উমর এবং আলি মুহাম্মদ খানের পাশাপাশি গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের ডক্টর ফাহমিদা মির্জা অধিবেশনে যোগদানকারীদের মধ্যে ছিলেন। বিরোধী দল থেকে, জাতীয় পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা শাহবাজ শরীফ, পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং পিপিপি কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি উপস্থিত ছিলেন।
বিরোধী দল, যার ১৬২ সদস্য রয়েছে, গত ৪ মার্চ অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করে। ১৫২ জন বিরোধী সদস্য দ্বারা উত্থাপিত এই প্রস্তাবে বলা হয় যে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান হাউসের আস্থা হারিয়েছেন। ক্ষমতাসীন জোটের কাছে বর্তমানে জাতীয় পরিষদের ১৭৯ সদস্যের সমর্থন রয়েছে। সূত্র: ট্রিবিউন।