২৯ জানুয়ারি ২০২০, আজকের মেঘনা ডটকম, ডেস্ক রিপোর্ট : অফিস রেখে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) ও উপজেলা ভূমি অফিসের ৩য় শ্রেণীর কর্মচারীরা পদ মর্যাদা বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি করছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা গ্রহীতারা। বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার উদ্যোগে মঙ্গলবার ৬ষ্ঠ দিনের মতো সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি করা হয়। কুমিল্লা কালেক্টরেটে কর্মচারীররা সকাল ৯টায় হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে প্রতিদিন কর্মসূচিতে যোদ দেন। অফিস আঙিনায় মিছিল ও মানববন্ধন করছেন। এদিন বক্তব্য রাখেন কালেক্টরেট সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি মো: আবু হানিফ, সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মোঃ নাছির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো: আরিফুর রহমান, সহ-সভাপতি মো: আবু বক্কর ছিদ্দিক হেলাল, আবদুর রহিম, এনামুল হক, হাবিবুর রহমান, আবদুল হাকিম, ছফিউল্লাহ মীর, কোহিনুর আক্তার, ফারহানা আক্তার, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইমাম উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান, সদস্য সাইফুল ইসলাম মুন্সী, অর্থ সম্পাদক আমান উল্লাহ ও সদস্য মাইনউদ্দিন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ২০১৪সালের মে মাসে ২য় পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মাঠ প্রশাসনে কর্মরত তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের পদবী পরিবর্তন এবং বেতন স্কেল উন্নীতের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত সম্মতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ওই বছরের ১৭ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এ আদেশ আজও বাস্তবায়ন করা হয়নি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৫-২৭ ফেব্রæয়ারি পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। দাবি পূরণ না হলে ঢাকায় মহাসমাবেশের মাধ্যমে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে।
সেবা গ্রহীতা লাকসামের পৌর এলাকার আবুল কালাম বলেন,ডিসি অফিসে এসে কাউকে পাচ্ছিনা। স্টাফরা নাকি তাদের দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন। বার বার এসে কাজ করতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়ছি।
বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: আরিফুর রহমান বলেন, ২০০১সাল থেকে পদোন্নতির দাবি জানিয়ে আসছি। অনেকে দাবি আদায়ের আন্দোলন করতে করতে অবসরে গেছেন, কেউ মরে গেছেন,কিন্তু পদ মর্যাদা বাড়েনি। আমরা সারা জীবনেও একটি পদোন্নতি পাই না। বেতন স্কেল বাড়ে না। রাত ১২টা পর্যন্ত, কখনও সারা রাত কাজ করেও ওভারটাইম পাই না।
বক্তব্য নেয়ার জন্য ফোনে জেলা প্রশাসক মো.আবুল ফজল মীরকে পাওয়া যায়নি। তবে জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,তারা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলন করছে। তাদের দাবি পূরণে স্থানীয় ভাবে কিছু করার সুযোগ নেই। কর্মবিরতিতে অফিসের কিছু সমস্যা হলেও তারা বিকালে কাজ করে তা পুষিয়ে দিচ্ছে। পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি হলে আমরা অচল হয়ে পড়বো।