শাহারুখ আহমেদঃ এবার সোনারগাঁও রিপোর্টার্স ক্লাব ও সোনারগাঁও প্রেস ইউনিটির সাথে একাত্বতা মত ঘোষণা করে সোনারগাঁ সাংবাদিক পরিষদ।
শনিবার সকালে সোনারগাঁ সাংবাদিক পরিষদের কার্যালয়ে সভাপতি এস এম রাজু আহমেদ সাংগঠনিক জরুরী আলোচনা সভায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তাছাড়া একই বিষয়ে গতকাল একাত্বতা মত ঘোষণা করে নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ঐক্যের আহবায়ক ও জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ।
৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনারগাঁও প্রেস ইউনিটি ভার্চ্যুয়াল লাইভে জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি কাজী ফরিদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন। সিদ্ধান্তে বলা হয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ না করা পর্যন্ত সোনারগাঁও প্রেস ইউনিটির কোন সংবাদকর্মী উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের কোন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশ করবেন না।
অন্যদিকে সোনারগাঁও রিপোর্টার্স ক্লাব প্রথমে সোনারগাঁও প্রেস ইউনিটির সিদ্ধান্তের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করেন। তার পর্যায়ক্রমে নারায়নগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ঐক্য ও সোনারগাঁ সাংবাদিক পরিষদও একই সিদ্ধান্তের উপর একাত্বতা প্রকাশ করেন।
এখানে উল্লেখ্যযে, ঐদিন সকালে উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম। ওই সভায় পেশাদার সাংবাদিকদের যথাযোগ্য সম্মানপূর্বক মতামত প্রকাশের সুযোগ দেয়া হয়নি। এতে অপমানিত হয়েছেন পেশাদার সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ।
একই সঙ্গে সোনারগাঁয়ের প্রতিটি সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সংগঠনগুলোর নেতাদের মত প্রকাশের সুযোগ দেয়া হয়নি। তাছাড়া সেখানে অনেক সিনিয়র সাংবাদিক গন উপস্থিত ছিলেন, তাদেরকে যথাযথ সম্মান না দিয়ে কথা বলতে দেয়া হয়নি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁয়ের শিক্ষিত সমাজ ও অভিভাবক মহল।
একইভাবে সোনারগাঁ সাংবাদিক পরিষদের পক্ষে সভাপতি ও জাতীয় দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকার ক্রাইম বিষয়ক স্টাফ রিপোর্টার এস এম রাজু আহমেদকে প্রথমে বলার সুযোগ দিতে না চাইলেও পরবর্তীতে মাত্র ১ মিনিটের জন্য সময় বেধে দেয়া হয় তাও আবার স্পিকার ছাড়া কথা বলতে বাধ্য করা হয় এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক গনজাগরণ পত্রিকার প্রতিনিধি হারুন অর রশীদকেও বলার সুযোগ দেয়া হয়নি।
এটি নিঃসন্দেহে সোনারগাঁ সাংবাদিক পরিষদের জন্য অসম্মানজনক, তাই এই সিদ্ধান্তে একাত্বতা ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুঃখ প্রকাশ না করলে সোনারগাঁ সাংবাদিক পরিষদের সদস্যরাও সোনারগাঁও রিপোর্টার্স ক্লাব ও সোনারগাঁও প্রেস ইউনিটির ন্যায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের সকল উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড থেকে কর্মবিরতি পালন করবে।
যদি তিনি দুঃখ প্রকাশ না করেন, তাহলে যে পর্যন্ত তিনি এখানে দায়িত্ব পালন করবেন সেই পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
এ ব্যাপারে কয়েক দফা ফোন করলেও ইউএনও আতিকুল ইসলাম কলটি রিসিভ করেননি। সোনারগাঁ ইউএনও আতিকুল ইসলাম দায়িত্বে অবহেলা করছে। যেমন তথ্য ও লিখিত অভিযোগ পেয়েও পরিবেশ দূষণকারী এবং দখলদারদের বিরোদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে জানা গেছে।