রাব্বি হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ একাত্তর টেলিভিশন বয়কটের ডাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান নাকচ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, ‘আমার একাত্তর টেলিভিশন ভালো লাগে না। এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। এটা কোন সাংবাদিক নেতার বিষয় না। তাই ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
শুক্রবার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান ডাকসুর সদ্য সাবেক এই ভিপি। এ সময় সাংবাদিকদের পরামর্শও দেন তিনি।
নুর বলেন, একাত্তর টেলিভিশন বর্জনের ডাক দেয়ার পর যেসব নেতারা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন; যখন বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল ও পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, তখন তো তাদের কোন প্রতিক্রিয়া দেখলাম না। সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পরেও তো তারা ওইভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। অথচ হত্যাকাণ্ডের ৯ বছর পরও তার বিচার হয়নি।
তিনি বলেন, একজন ব্যক্তির গণমাধ্যম ভালো না লাগলে বর্জন করতেই পারেন। এটি তার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। আর যেখানে ৪-৫টি গণমাধ্যকে বন্ধ করে দেয়া হল, সে সময় এসব সাংবাদিক নেতাদের দেখিনি যে, সেগুলো তারা খুলে দেয়ার কথা বলেছেন।
নুরুল হক বলেন, যারা দেশে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূলবোধের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করছে; যারা সত্য নিউজকে সঠিকভাবে প্রচার না করে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের টকশোতে নিয়ে হেনস্তা করছে সেই চ্যানেলের পক্ষে নেমেছে এসব সাংবাদিকরা। তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
নুর বলেন, আমি সেসব সাংবাদিক নেতাদেরকে বলব, একজন ছাত্রনেতা কিংবা ডাকসু ভিপির বিষয়ে এতো মাথা না ঘামিয়ে, দেশের গণমাধ্যম যেভাবে স্বাধীনতা হারিয়েছে বা তাদের কর্মীরা আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানি শিকার হচ্ছেন তাদের পাশে দাঁড়ান এবং তাদের নিয়ে কথা বলুন। তাদের সহকর্মী কাজল আজ কারাগারে, তা নিয়ে তাদের তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তাই বুঝাই যাচ্ছে, তারা (সাংবাদিকরা) উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একাত্তর টেলিভিশনের পক্ষপাতিত্ব করছে। তারা তাদের পেশাদারিত্ব জায়গা থেকে সেটি করছে না।