মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে আলুর এই দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এর আগে গেল ৭ অক্টোবর প্রতিকেজি আলুর খুচরামূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল ৩০ টাকা। একই সঙ্গে পাইকারি পর্যায়ে এককেজি আলুর দাম ২৫ ও কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে ২৩ টাকা বেধে দেয় সরকার। তবে, দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে এখন থেকে পাইকারি পর্যায়ে ৩০ ও কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে এককেজি আলুর দাম পড়বে ২৭ টাকা।
মঙ্গলবার দুপুরেই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের আলুর দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানান, প্রতিকেজি আলুর খুচরা দাম নতুন করে ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা হবে। এসময়, খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম অনেকে বেড়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় মন্ত্রী বলেন, লক্ষ্য ছিল যেন কৃষকরা আলুর ভালো দাম পায়, কিন্তু দাম এত বেড়ে যাবে সেটা বুঝতে পারেনি সরকার।
এছাড়া, ইরান, তুরস্ক, মিসর, মিয়ানমার, পাকিস্তান থেকে আলু আমদানি করার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, গত ৫ মাস ধরে বৃষ্টির কারণে আলুর ওপর নির্ভরতা খানিকটা বেড়ে গেছে।
সম্প্রতি নানা অজুহাতে হঠাৎ করেই দ্বিগুণ হয়ে যায় আলুর দাম। পাইকারি ও খুচরা বাজারে ৫৫ থেকে ৬০ টাকাতেও বিক্রি হয় এই নিত্যপণ্য। দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থা। কেনা দামে বিক্রি করলেও সরকারের বেধে দেয়া দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হবে আর এতে জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে; এমন ভয়ে অনেক বাজারের ব্যবসায়ীরা আলু বিক্রি বন্ধও করে দিয়েছে এরই মধ্যে।