স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু নারী ও পুরুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন। নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য বঙ্গবন্ধুর দর্শন ভবিষ্যত রাজনৈতিক নেতৃত্বের জন্য অনুকরণীয়। বঙ্গবন্ধুই নারী ক্ষমতায়নের ভিত রচনা করে গেছেন।
বুধবার রাতে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘মুজিববর্ষে শতঘণ্টা মুজিবচর্চা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ‘নারীর ক্ষমতায়নে বঙ্গবন্ধু’ বিষয়ে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ও মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে সূচনা বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর জীবন, রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে ‘মুজিববর্ষে শতঘণ্টা মুজিবচর্চা’ কর্মসূচি অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে মেহেরপুরের মুজিবনগর সূতিকাগারের ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু নারীর ক্ষমতায়নে কার্যক্রম ও নীতি নির্ধারণ অতুলনীয়। জাতীয় সংসদে নারীদের সরাসরি নির্বাচনের পাশাপাশি সংরক্ষিত আসন রাখা, সরকারি চাকুরি কোটা চালুকরণ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সেবা, সমুদ্র বিজয়, নারী পুণর্বাসন বোর্ডসহ সবকিছুই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনসহ অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর গৃহীত পদক্ষেপসমূহ আজও অনুসরণযোগ্য। এছাড়াও তিনি বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছেন বিশ্বসেরা সংবিধান। বঙ্গবন্ধু ৫০ বছর আগে যা করে গেছেন তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।