মুসলমানদের নিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর করা কটূক্তিকে সমর্থন জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের কথিত মুসলিম রাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনওয়ার গারগাশ মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, পশ্চিমা সমাজে একীভূত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ম্যাক্রো যা বলেছেন তা মেনে নিতে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, সোমবার (২ নভেম্বর) একটি জার্মান সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে আমিরাতি মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তার মতে, ম্যাক্রো আসলে কি বলেছেন তা মুসলমানদের সতর্কভাবে শোনা উচিত। কেননা তিনি পশ্চিমে মুসলিমদের বিচ্ছিন্ন করতে চান না। ম্যাক্রো একেবারে সঠিক।
পশ্চিমা দেশগুলোতে মুসলিমদের আরও ভালোভাবে একীভূত হওয়া প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করে গারগাশ। তিনি বলেন, চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই ও সামাজিক বন্ধনের জন্য সমান্তরাল উপায় অনুসন্ধানের অধিকার রয়েছে ফরাসি রাষ্ট্রের।
ম্যাক্রোর বিরুদ্ধে ফ্রান্সে বসবাসরত মুসলিমদের বাদ দেওয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন আমিরাতি মন্ত্রী।
মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের জেরে এক মুসলিম উগ্রবাদী কর্তৃক একজন ইতিহাস শিক্ষককে হত্যার পর থেকেই উত্তপ্ত ফ্রান্স। ম্যাক্রো মুসলিমদের বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে অভিযোগ করেন এবং মহানবী (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন।
মূলত তার এ ঘোষণায় মুসলিম বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। মুসলিম দেশগুলোতে ফরাসি পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়। এ ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক ক্ষোভের মধ্যেই আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দৃশ্যত কিছুটা নমনীয় হতে দেখা যায় ফরাসি প্রেসিডেন্টকে।
ম্যাক্রো বলেছিলেন, ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করা ফ্রান্সের কোনো সরকারি প্রকল্প বা উদ্যোগ ছিল না। এটি ছিল একটি বেসরকারি স্বাধীন ও স্বতন্ত্র সংবাদপত্রের কাজ। পত্রিকাগুলো সরকারের অনুগত নয়। কার্টুন এঁকে রসুল (সা.) এর অবমাননা করায় মুসলমানদের অনুভূতি কেমন হতে পারে, তা আমি বুঝতে পারি। তাদের অনুভূতিকে আমি শ্রদ্ধা করি। তবে এই মুহূর্তে আমার ভূমিকা কী, সেটা অবশ্যই আপনাকে বুঝতে হবে।
মহানবী (সা.) এর কার্টুন আঁকাকে সমর্থন করেন না বলেও দাবি করে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, সরকার এই ব্যঙ্গচিত্র আঁকাকে সমর্থন করবে না বলে জোর দিয়েছিল। তবে আমার কথাগুলো বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। আমিও এসব কর্মকাণ্ড সমর্থন করি না।