২৩ নভেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর অথৈ পানিতে পড়ে সংসার। ৪ বছর আগে তখন হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজতে শুরু করেন ভারতের বর্ধমান শহরের বিধানপল্লীর এক তরুণী। সেনা অফিসার পরিচয় দিয়ে এগিয়ে আসে খণ্ডঘোষ থানার গোলাহাটের এক যুবক। চাকরির আশ্বাসের পাশাপাশি বিয়ের প্রস্তাব দেয় সে। তরুণীর মায়ের সম্মতিতে ২০১৯’র জুন মাসে দু’জনের বিয়ে হয়। আর তারপর থেকেই বিপদে পড়েছেন ওই তরুণী।
অভিযোগ, চাকরি তো দূরের কথা, বিয়ের পর থেকে ওই তরুণীর ওপর অমানবিক অত্যাচার করতে শুরু করে ওই যুবক। আর তাতে সামিল হয়েছে ওই তরুণীরই মা।
বিয়ের কিছুদিন পরেই তরুণী জানতে পারে যে ওই যুবক বিবাহিত। তার এক ছেলেও রয়েছে। এর প্রতিবাদ করার পর থেকেই শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এমনকী ওই যুবক তার বন্ধুদের সঙ্গে সহবাস করার জন্যও ওই তরুণীকে চাপ দিতে থাকে। আর তাতে রাজি না হওয়ায় তরুণীকে মারধর শুরু করে ওই যুবক। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তরুণীকে ভয় দেখানো হয়।
ওই তরুণীর অভিযোগ, জোর করে একাধিকবার গর্ভপাত করানো হয়েছে তাঁকে।
এদিকে, সবকিছু জেনেও মুখে কুলুপ আঁটে ওই তরুণীর মা। নির্যাতিতার অভিযোগ, স্বামীর সমস্ত আবদার মেনে নিতে বলে তার মা। শুধু তাই নয়, স্বামীর সঙ্গে ওই তরুণীর সহবাসের ভিডিও জানালা দিয়ে রেকর্ড করতো ওই তরুণীরই মা। একদিন তা দেখে ফেলেন ওই তরুণী।
এর কারণ কী জানতে চাইলে ওই তরুণীকে তার মা জানান, প্রতিটি ভিডিওর জন্য তাকে নগদ ১২০০ টাকা দেয় জামাই। সেই টাকা দিয়ে চলে সংসার।
তরুণীর অভিযোগ, এখন সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে ওই যুবক।
কিন্তু মুখ বন্ধ রাখেননি ওই তরুণী। বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তরুণী তার গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। যদিও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
বর্ধমান থানার এক কর্মকর্তা জানান, নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আগে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে। তারপর গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গ। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।