২৩ নভেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৬ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায়।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ওই বাংলাদেশি যুবকের নাম আহমেদ ফয়সাল। চলতি মাসের (২ নভেম্বর) দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আইনে (আইএসএ) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ইসলাম নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ করেছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৭ সাল থেকে সিঙ্গাপুরের একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে চাকরি করে আসছিল ফয়সাল। ২০১৮ থেকে আইসিসের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে উগ্রবাদী হয়ে পড়ে ওই ব্যক্তি। আইসিসের ইসলামিক খেলাফত প্রতিষ্ঠার প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়ার কারণে সিরিয়া যেতে আগ্রহী ছিলেন তিনি। ফয়সালের বিশ্বাস তিনি যদি মারা যান তবে শহীদ হয়ে যাবেন।
এতে বলা হয়, ২৬ বছর বয়সী আহমেদ ফয়সালকে ইন্টারনাল সিকিউরিটি আইনের অধীনে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সিঙ্গাপুরে আহমেদ ফয়সালের কোনও নাশকতা করার পরিকল্পনা ছিল কিনা, তদন্তকারীরা এমন কোনও তথ্য খুঁজে পাননি। তবে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ফয়সাল একজন উগ্রপন্থী। ধর্মের নামে সশস্ত্র সহিংসতা করার ইচ্ছা রয়েছে তার।
সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৯ সালের মাঝামাঝি ফয়সাল হায়াত তাহরির আল-সাম নামে উগ্রবাদী সংস্থার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং সিরিয়াভিত্তিক ওই সংস্থাকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন। সামাজিক গণমাধ্যমে মিথ্যা অ্যাকাউন্ট খুলে সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মিথ্যা প্রচারণা চালাতেন ফয়সাল। এছাড়া তিনি আল-কায়দা ও সোমালিয়াভিত্তিক আল-শাহবাবের প্রতিও সহানুভূতিশীল।
ফয়সাল বিশ্বাস করেন, মুসলিমদের দায়িত্ব হচ্ছে নির্যাতিতদের সাহায্য করতে সহিংস জিহাদ করা। এজন্য তিনি কাশ্মিরে যেতে চেয়েছিলেন। নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য তিনি অনলাইনে সহিংস ভিডিও দেখতেন।
এ বিষয়ে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানায়, বিষয়টি জানার পর তারা ঢাকায় রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। তবে দূতাবাস কর্মকর্তারা এখনও ফয়সালের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় এ বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নিরাপত্তা অভিযান জোরদার করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগ এ পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৩৭ জনের সন্দেহভাজন কর্মকাণ্ড নিয়ে তদন্ত চালায়। সন্দেহভাজন এসব ব্যক্তির মধ্যে বিদেশি ২৩ জন এবং স্থানীয় ১৪ জন। তদন্ত শেষে বাংলাদেশের ১৫ জন এবং মালয়েশিয়ার ১ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।