• বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২০ অপরাহ্ন

৩ টি কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন জনাকীর্ণ : প্রভাব খাটিয়ে ওষুধ নেওয়ার অভিযোগ

রিপোর্টার : / ২৪৯ বার পঠিত
আপডেট টাইম : বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০২২

২৩ মার্চ ২০২২,আজকের মেঘনা ডটকম, এম এইচ বিপ্লব সিকদার : ৮ টি ইউনিয়নে মোট ১১ টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে এর মধ্যে ৩ টি ভবন জনাকীর্ণ ঝুঁকি নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন অন্যদিকে ৮ টি ভবন মুটামুটি ভালো আছে। কর্তব্যরতরা বলেছেন প্রভাব খাটিয়ে অপ্রয়োজনে অনেকে ওষুধ নিয়ে যায়।

(বিজ্ঞাপন)

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে ১১ টি ক্লিনিকে ১টি পদ সৃষ্টি আছে ” কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার ” প্রতিটিতে জনবল নিয়োগ আছে। ক্লিনিক গুলো তে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয় শিশু সেবা, মাতৃত্বকালীন সেবা সহ বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করা হয় এবং সপ্তাহে ৩ দিন ইপিআই সেবা প্রদান করা হয়। কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো হলো চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের মৈশার চর, চালিভাঙ্গা এলাকায়, লুটের চর ইউনিয়নের শেখের গাও এলাকায় বড়কান্দা ইউনিয়নের  কান্দার গাও এলাকায়, মানিকার চর ইউনিয়নের বড় নোয়াগাও, আমিরাবাদ এলাকায়, গোবিন্দ পুর ইউনিয়নের রামনগর, সোনার চর এলাকায়, ভাওরখোলা ইউনিয়নের ভাওরখোলা এলাকায়, চন্দনপুর ইউনিয়নের তুলাতুলি এলাকায়, রাধানগর ইউনিয়নের লক্ষন খোলা এলাকায় অবস্থিত। শেখের গাও এলাকার কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার ফারহানা আক্তার বলেন আমরা শিশু ও মাতৃত্বকালীন সেবা সহ প্রাথমিক সেবা প্রদান করে থাকি এবং বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করি, জনাকীর্ণ ভবনের ফলে ঝুঁকি নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছি  প্রতি মাসে একবার ওষুধ আসে যার লাগেনা সেও নিয়ে যায়  পরে রোগীর ক্ষেত্রে ঘাটতি পরে তবে এমন ওষুধ আছে যা পরে আছে কাজে লাগেনা ।মৈশার চর  কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার মোঃ সোহেল মিয়া বলেন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও মাতৃত্ব কালীল সেবা দেওয়া হয়, আমার অফিসের ভবনের ছাদ দিয়ে পানি পরে তাই কাজ করতে সমস্যা হয়। তুলাতুলি কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার বলেন আমার এখানে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ জন রোগী হয় তবে অনেকেই অপ্রয়োজনে প্রভাব খাটিয়ে ওষুধ নিয়ে যায়।  গাও এলাকার বাসিন্দা আরিফ  বলেন সেবা নিতে আসা রোগিদের আনাগোনা আগের চেয়ে কম, সব ওষুধ অনেক সময় পাওয়া যায়না। তুলাতুলি গ্রামের কৃষক মহি বলেন মুডামুডি সেবা পাওয়া যায় তবে ওষুধ যার লাগেনা হেয় বেশি করে নেয় অনেক সময় রোগী ওষুধ পায়না। বড় নোয়াগাও কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার রিনা আক্তার বলেন আমি প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন রোগী দেখছি আমার এখানে কোন সমস্যা নেই।  এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.জালাল হোসেন বলেন আমাদের আওতাধীন ১১ টি কমিউনিটি ক্লিনিক আছে আগে ইন্টারনেট ও সার্ভার সমস্যা ছিলো এখন নেই, সেখানে রোগিরা শতভাগ প্রাথমিক চিকিৎসা, শিশু ও মাতৃত্বকালীন সেবা পাচ্ছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগ নির্ণয় করা হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন কমিউনিটি ক্লিনিকে কোন রোগ নির্ণয় করা হয় না। এ বিষয়ে  উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার বলেন কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো নিয়ে আগে কেউ মাথা ঘামাতোনা এখন আমরা পর্যায় ক্রমে অবকাঠামো উন্নয়ন সহ ওষুধ নিয়ে মনিটরিং করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

পুরাতন সংবাদ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১