মেঘনায় মাকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ভাওরখোলা ইউনিয়নের বকশিকান্দা গ্রামে গত ১৭ অক্টোবর সকালে ঘটেছে। মোসাঃ হাসনা বানু (৭০) নামে এক বৃদ্ধা মাকে মো: ছিদ্দিক তার বউ ও সন্তানদের নিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে এ বিষয়ে মোসাঃ হাসনা বানু (৭০) থানায় অভিযোগ করেছেন । সরেজমিনে গেলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এই অত্যাচার। এ নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিচার সালিশ করেছেন অনেকবার। তাতেও কাজ হচ্ছে না। কারণ জানতে চাইলে হাসনা বানুর স্বামী মোঃ খলিল বেপারী (৭৫) বলেন আমি বেচে থাকা অবস্থায় আমার ছেলেরা আমি সহ আমার স্ত্রীর ভরণপোষণ করে না। ছেলেদের মতিগতি ভালো না দেখে আমার জায়গা সম্পত্তি আমি আমার স্ত্রীর নামে লিখে দেই। এরপর থেকে আমার ছেলে ছিদ্দিক আমাকে ও আমার স্ত্রীকে অনেক বার মারধর করে। আমার মেয়েরা আমাদের দেখাশোনা করে দেখে ওরা মনে করে আমরা হয়তো মেয়েদের জায়গা সম্পদ লিখে দিবো এজন্য আমার মেয়েরা আসলে মেয়েদেরকে ও অত্যাচার করে। এখন আমরা অনেক অসহায়। হাসনা বানু বলেন তাহারা অত্যন্ত উগ্র প্রকৃতির লোক। আমাকে কোন প্রকার ভরনপোষণ দেয় না এবং কোন প্রকার খোঁজ খবর নেয় না। আমি অতি কষ্ট করে আমার ছোট ছেলে পারভেজের সাথে থাকিয়া জীবন যাপন করি। আমি আমার বাড়ীর জায়গা অভিযুক্ত ছিদ্দিকের নামে দলিল করিয়া দেওয়ার জন্য প্রায় সময় আমার ও আমার ছোট ছেলে এবং তার পরিবারের লোকজনদেরকে অমানবিক অত্যাচার নির্যাতন ও জোরজুলুম সহ আমাদেরকে হুমকী ধামকী দিতে থাকে । এ নিয়ে এলাকার পঞ্চায়েতগন বহুবার বিচার সালিশ করেছেন। পঞ্চায়েতগনের বিচার অমান্য করিয়া পূর্বের ন্যায় আমাদেরকে অমানবিক অত্যাচার নির্যাতন করেই আসছে। ঘটনার দুইদিন আগে আমাদের বাড়ীতে থাকা টিউবয়ল ভাঙ্গিয়া ফেলে। আমি স্ানীয় পঞ্চায়েতগনের নিকট বিচার প্রার্থী হই। তাতেই ক্ষিপ্ত গত ১৭ অক্টোবর সকাল ০৮:০০ ঘটিকার সময় আমাদের বাড়ীতে আসিয়া আমাদেরকে অত্যন্ত খারাপ ভাষায় গালমন্দ করে ডাকাডাকি করতে থাকে। তখন আমি এর প্রতিবাদ করলে অতর্কিত ভাবে আমাকে ও আমার মেয়ের ঘরের নাতনীকে আক্রমন করে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।আমি ও আমার নাতনীর মাথাসহ শরীরে বিভিন্নস্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। আমাদের চিৎকার শুনিয়া আশপাশের লোকজন আসিয়া আমাদেরকে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আমি বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।অভিযুক্ত ছিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় মেম্বার মোঃ তারা মিয়া ও মহিলা মেম্বার উম্মে কুলসুম শান্তি বলেন আমরা অনেকবার বিচার সালিশ করার পরও কোন সুরাহা হচ্ছে না। আমরা এর একটা স্ায়ী সমাধান চাই। মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত (কর্মকর্তা) ওসি ছমি উদ্দিন বলেন, আমি বিষয়টি অবগত আছি এর সঠিক তদন্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।