২৬ আগষ্ট ২০২৩ ইং, আজকের মেঘনা ডটকম, বিশেষ প্রতিনিধি।।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসন পুনঃ উদ্ধারের পর কুমিল্লা -২ (হোমনা -মেঘনা) রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মোড় দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিশেষ করে কুমিল্লা -১ ও ২ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের শারীরিক অসুস্থতার ফলে বিষয়টি কেউ কেউ রাজনীতির মাঠে নিয়ে এসেছে। ফলে উপজেলার মুলধারার বিএনপির তৃণমূল কর্মীরা দোটানায় পরে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছে। সেই পরিস্থিতি আবার কিছু নেতারা নিজ পারফরম্যান্স হিসেবে গ্রহণ করতে দেখা গেছে। বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, আসন ভাগাভাগি হওয়ার পর পর হোমনা – মেঘনায় বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাবে মর্মে গণসংযোগ করছেন। ধীরে ধীরে গণসংযোগের পরিধি বেড়ে চলছে। যদিও স্থানীয় বিএনপির পদপদবী নিয়ে রাজনীতি করছেন তারা না আসলেও নির্ভর যোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত অনুযায়ী মেঘনার অনেক নেতাই রাতের আধারে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। নিজে সরাসরি না নামলেও স্বপক্ষের কিছু নেতারা ভীড় করছে। কে পাবে মনোনয়ন এ নিয়ে তৃণমূল বিএনপির মধ্যে নিরব গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা স্থানীয় বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের আগে যদি উপজেলা নির্বাচন হয় তাহলে ব্যালেন্স না রাখলে ভোটের রাজনীতিতে ভাটা পড়তে পারে সেই দিকে খেয়াল অনেকেরই। ভাবনাটা দিন যতদিন যাচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে একটা বিষয় কাজ করছে যে জাতীয় নির্বাচন তত্বাবধায়ক বা নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি সেই চিন্তা থেকেই দোটানায় পা দিয়েছে। এদিকে অসুস্থ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড.মোশাররফ হোসেন পুরোপুরি সুস্থতার খবর পাওয়া গেছে। ঐ নেতার পারিবারিক সূত্রে। সূত্র জানায় সম্প্রতি ঢাকায় মেঘনা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র কিছু নেতাদের নিয়ে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য, আইনজীবী, ড.খন্দকার মারুফ হোসেন ঘরোয়া আলোচনা সভা করেছে। সেপ্টেম্বর ৮ তারিখ ড.মোশাররফ হোসেনের বাংলাদেশ ফেরার কথা জানান এবং তিনি অসুস্থ থাকাকালীন মেঘনা সহ দেশবাসী দোয়া করেছেন তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য মেঘনার মানুষের কাছে যাবেন। আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেই আলোচনায়। সব মিলিয়ে সাম কূল রেখেই চলার চেষ্টা করছেন উপজেলা ভিত্তিক সিনিয়র নেতারা। তবে কেউ মুখ খুলছেন না। আন্দোলন, সংগ্রামে পদধারীদের উপস্থিতি সরব থাকলেও ভিতরে সেই উপজেলা চেয়ারম্যান নিয়ে ভাবনায় নিজ বলয় সর্বদিকেই পা দিয়েছেন। এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এপিএস মতিন কুমিল্লা -২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং শতভাগ আশাবাদী হয়ে কৌসুলি হয়ে ফোনে তৃণমূলের অনেকের সাথে যোগাযোগ করছেন। তবে পদ পদবি বঞ্চিতদের তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং কাছে টানার চেষ্টা করছেন। সব মিলিয়ে যারা বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী, নয় ছয়ের বাইরে মন থেকে জাতীয়তাবাদ আদর্শকে লালন করে তারা দুটানায় পরে খেই হারাতে বসেছে ।